





৪ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা ফেরদৌস অবশেষে ভারতের ভিসা পেয়েছেন।






আড়াই বছর আগে তার ভিসা বাতিল করেছিল ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। ২ দিন আগে তিনি ভারতের ভিসা হাতে পান। এতে তার ভারতে যেতে আর কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকল না।






আজ শুক্রবার রাতে ফেরদৌস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।






তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত আনন্দিত আমি। খুব ভালো লাগছে। প্রচণ্ড ভালো লাগার অনুভূতি কাজ করছে আমার ভেতরে। ৫ বছরের ভিসা পেয়েছি।’
ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ফেরদৌস বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা। গণমাধ্যমের প্রতি ভালোবাসা। এ ঘটনায় মানসিকভাবে কষ্টে ছিলাম। ওপরওয়ালার দয়া ছিল। সেজন্য সমস্যার সমাধান হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে কষ্টকর বিষয় হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকের মতো সিনেমায় ভিসার জন্য অভিনয় করতে পারিনি। ইতিহাসের অংশ হতে পারিনি। এই আফসোস থেকেই যাবে।’
দুই মেয়ের প্রসঙ্গ টেনে ফেরদৌস বলেন, ‘শুটিংয়ের সময় আমার ২ মেয়ে প্রতি মাসে কিংবা ২ মাস পর পর কলকাতায় চলে যেত। একদিনের জন্য হলেও দেখা করে ফিরে আসত। ওরা খুব মিস করেছে বিষয়টি। আমিও ভারতকে সেকেন্ড হোম মনে করতাম সব সময়।’
‘আগামী মাসে মেয়েদের নিয়ে ঘুরতে যাব আশা করছি,’ যোগ করেন তিনি।
সবশেষ ভারতীয় বাংলা সিনেমা দত্তার শুটিংয়ে অংশ নিয়েছিলেন ফেরদৌস। সিনেমাটির শুটিং চলাকালে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ার কারণে তার ভিসা বাতিল হয়েছিল।
এদিকে হৃদি হকের পরিচালনায় ১৯৭১ সেইসব দিন এবং আফজাল হোসেনের পরিচালনায় মানিকের লাল কাঁকড়া সিনেমার শুটিং সম্প্রতি শেষ করেছেন ফেরদৌস। সেই সঙ্গে গাঙচিল সিনেমার শুটিংয়েও অংশ নিয়েছেন। গাঙচিল সিনেমার একটি গান এখনো বাকি আছে।
ভারতীয় পরিচালক বাসু চ্যাটার্জী পরিচালিত হঠাৎ বৃষ্টি সিনেমা দিয়ে ফেরদৌসের চলচ্চিত্রে অভিষেক। তারপর থেকে একইসঙ্গে বাংলাদেশি ও ভারতীয় বাংলা সিনেমায় কাজ করেছেন পাশাপাশি। হিন্দি সিনেমা মিট্টিতেও অভিনয় করেছেন ফেরদৌস।