





করোনাভাইরাস এর বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের গণ্যমান্য অনেকেই আক্রান্ত হয়েছে আবার অনেকেই






এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদ






ব্যবসায়ী এবং বিনোদন জগতের তারকারাও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে অনেকেই সুস্থ






হয়েছেন আবার অনেকেই হাসপাতলে অসুস্থ অবস্থায় রয়েছেন আবার অনেকেই চলে গেছে না ফেরার দেশে
চারদিকে উৎকণ্ঠা, কেমন আছেন নন্দিত অভিনেতা আজিজুল হাকিম। গত ১০ নভেম্বর নমুনা পরীক্ষায় আজিজুল হাকিমের সঙ্গে তার স্ত্রী জিনাত হাকিম ও ছেলে মুহাইমিন রেদওয়ান হাকিমের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। চিকিৎসকের পরামর্শে তারা বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
১২ নভেম্বর ৬১ বছর বয়সী অভিনেতা আজিজুল হাকিমের অবস্থার অবনতি ঘটলে রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে নেয়ার পর তার হার্ট ও ফুসফুসে জটিলতা ধরা পড়লে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় এই অভিনেতাকে।
১৩ নভেম্বর সে খবর প্রকাশ্যে আসতেই ছড়িয়ে পড়ে দুশ্চিন্তা। শোবিজের মানুষ ও আজিজুল হাকিমের ভক্তরা প্রিয় অভিনেতার জন্য দোয়া প্রার্থনায় ভাসিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
আজ শনিবার (১৪ নভেম্বর) অভিনয় শিল্পী সংঘের বরাতে জানা গেছে কিছুটা উন্নতি হয়েছে তার। নিজে নিজেই নিঃশ্বাস নিতে পারছেন বলে অক্সিজেনের সাপোর্ট প্রায় ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে আজ তার জ্ঞান ফিরে আসারও প্রত্যাশা করছেন চিকিৎসকরা।
অভিনয়শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম কর্তব্যরত চিকিৎসক মহিউদ্দিনের সঙ্গে কথা বলে জানান, আজিজুল হাকিমের ফুসফুসে পানি জমেছে, প্রেসার লো এবং হালকা শ্বাসকষ্ট আছে। এসব জটিলতা দ্রুত নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন তারা। গতকালের ক্রিটিক্যাল অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। চিকিৎসায় ইতিবাচক সাড়া মিলছে।
এদিকে আজিজুল হাকিমের একমাত্র মেয়ে নাজাহ হাকিমও নিশ্চিত করেছেন তার বাবার শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটেছে।
আজ ফেসবুকের এক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ’আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে বাবা আগের থেকে বেটার। ভেন্টিলেটরে আছেন কিন্তু বাবার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। আলহামদুলিল্লাহ অবস্থার অবনতি হয়নি। সবাই আরো বেশি বেশি করে দোয়া করবেন প্লিজ।’
প্রসঙ্গত, নব্বই দশকের শুরুতে মঞ্চ নাটকের মধ্য দিয়ে অভিনয়ে যুক্ত হন আজিজুল হাকিম। পরে তিনি টিভি নাটক ও চলচ্চিত্রে কাজ করে খ্যাতি পেয়েছেন। তিনি এখনো নিয়মিত অভিনয় করেন। তার সহধর্মিণী জিনাত হাকিম নিজেও একজন জনপ্রিয় নাট্যকার ও নির্মাতা।
এই দম্পতির দুই সন্তান। বড় মেয়ে নাজাহ হাকিম ও ছোট ছেলে মুহাইমিন রেদওয়ান।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসে বাংলাদেশের অনেকেই আক্রান্ত যদিও দেশে মাঝামাঝি সময়ে কিছুটা এই ভাইরাস এর প্রবণতা কমে গিয়েছিল তবে আবারও
সেটি শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে শুরু করেছে এবং আক্রান্তের হার আবার বেড়ে গেছে না ফেরার দেশে চলে যাওয়া সংখ্যাও বেড়েছে অনেকে তবে এখন থেকেই যদি সতর্ক না হওয়া যায় তবে সামনে আরো বড় বিপদ আসতে পারে এমনটা বারবার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে সরকারের থেকে